রাজশাহী জেলা কাজী সমিতির সভাপতিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা

রাজশাহী জেলা কাজী সমিতির সভাপতিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা

রাজশাহী জেলা কাজী সমিতির সভাপতিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা
রাজশাহী জেলা কাজী সমিতির সভাপতিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে সনদ জালিয়াতি চক্রের সন্ধান মিলেছে। আন্ত:জেলা জালিয়াত চক্রের সদস্য ও প্রতারক উল্লেখ করে রাজশাহী জেলা নিকাহ রেজিস্টার ও কাজী কল্যাণ সমিতির সভাপতিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। রাজশাহী নগরীর কর্ণহার থানাধীন মৃত ইসকেন্দার সেখের ছেলে মো: হাবিবুল্লাহ (৫০) বাদী হয়ে গত ২১ জানুয়ারি বাংলাদেশ দ-বিধি আইনের ৪১৯/৪২০/৪৬৭/৪৬৮/৪৭১ ধারায় রাজশাহী মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রাজপাড়া থানার আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নগরীর রাজপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহারুল ইসলামের ওপর দায়িত্ব দিয়েছেন।

মামলার আসামিরা হলেন কর্ণহার থানার মহসিন সেখের ছেলে ইনসান আলী (৪৭), জেলার গোদাগাড়ী থানার সুলতানগঞ্জ এলাকার আব্দুল বাশিরের ছেলে আব্দুল জাব্বার (৫১) ও নগরীর এয়ারপোর্ট থানার বায়া ভোলাবাড়ী এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে মোশাররফ হোসেন (৪৪)। এরমধ্যে আব্দুল জাব্বার হলেন রাজশাহী জেলা নিকাহ রেজিস্টার ও কাজী কল্যাণ সমিতির সভাপতি।

মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিরা আন্ত:জেলা জালিয়াত চক্রের সদস্য ও প্রতারক। দাখিল ও আলিম পাশের সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে দীঘদিন অবৈধভাবে পবা উপজেলার হুজরিপাড়া ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিস্ট্রারের কাজ করছেন কর্ণহার গ্রামের মহসিন শেখের ছেলে ইনসান আলী।

এছাড়া জালিয়াতি চক্রের সদস্য গোদাগাড়ী থানার সুলতানগঞ্জের আব্দুল জাব্বার নিজে ইনসান আলীর নামে দাখিল ও আলিম পাশের ভুয়া সনদপত্র তৈরি করেন। তার পর এই ভুয়া সনদপত্র ব্যবহার করে আব্দুল জাব্বার আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে ইনসানের নামে নিকাহ্ রেজিস্ট্রারের লাইসেন্স করে নিয়েছেন।

পরবর্তীতে ইনসান আলীর সনদ জালিয়াতির অভিযোগ উঠলে তা যাচাইয়ের জন্য আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সহকারী সচিব এএইচএম শামসুল আরেফিন বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে চিঠি দেন। পরে মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক জানান, সনদ দু’টি যাচাই করে এর সত্যতা মেলেনি।

এরপরে ইনসান আলীর সনদ দু’টি ভুয়া প্রমাণিত হয়েছে- এমন খবর পেয়ে শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে জেলা রেজিষ্ট্রারের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে তার পদ থেকে ইস্তফা দেন। এরই প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় হুজরীপাড়া ইউনিয়নে নিকাহ্ রেজিস্ট্রার পদটি শূণ্য ঘোষণা করেন। পরে পবা উপজেলার ১নং দর্শনপাড়া ইউনিয়নের নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার ও মামলার ৩ নং আসামি মোশাররফ হোসেন বিষয়টি জানা সত্বেও ১ নং আসামি ইনসান আলীকে নিকাহ্ রেজিষ্ট্রার দেখিয়ে ভুয়া কাবিননামা তৈরি করে সঠিক বলে জবেদা কপি প্রদান করেন।

জানতে চাইলে রাজপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাজহারুল ইসলাম জানান, বিষয়টি তদন্ত চলছে। দ্রুত তদন্ত শেষে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তিনজন আসামিই সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

মতিহার বার্তা ডট কম: ০৪ ফেব্রয়ারি ২০২১

খবরটি শেয়ার করুন..

Leave a Reply